Wednesday, July 24, 2013

প্রতারণার ফাঁদ ‘গ্রামীনফোন সেন্টার থেকে বলছি...’



চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও শহরের শাহীবাগ মহাল্লার বাসিন্দা রশ্মিআরা ইসলাম বৃষ্টিবৃহস্পতিবার সকালে তার সেল ফোনে হটা অপরিচিত নম্বর ০১৭৭৯০৩৮৪০১ থেকে কল আসলোকলটি রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে গুনগুন করে বেজে উঠলো গ্রামীণ ফোন থেকে আপনাকে স্বাগতম... তারপর পুরুষ কণ্ঠে জানানো হলো, ‘আপনার সেল নম্বরটি সুন্দরআমরা সারাদেশ থেকে ২০টি সুন্দর সুন্দর নম্বরের লটারি করেছিতারমধ্যে আপনার নম্বরটি প্রথম হয়েছে অভিনন্দন আপনাকেআপনি পাচ্ছেন ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকাকলেজ ছাত্রী বৃষ্টি পৌনে আট লাখ টাকা বিজয়ের ঘোষণায় বিচলিত হয়ে পা দেয় প্রতরণার ফাঁদে খোয়া যায় তার সঞ্চয়ের ৩ হাজার ৩ শ টাকা 
প্রতারিত বৃষ্টি জানান, ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণার পর তাকে জানানো হয় পুরস্কারের টাকা নিতে গেলে নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে তার জন্য লাগবে ৩ হাজার ৩ শ টাকাএই টাকাটি বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে পাঠাতে হবে 
প্রলভনে পা দিয়ে শহরের বিশ্বরোড মোড়ের একটি বিকাশ এজেন্টের কাছে গিয়ে দুপুর পৌনে একটার দিকে বিকাশ এজেন্টের লাস্ট ডিজিজ ২৩৪১৩৩ থেকে প্রতারকদের দেয়া ০১৭৭২৪৭৫৮৮১ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেয় বৃষ্টিতারপর তাকে জানানো হয়তার রেজিষ্ট্রেশন হয়েছেযার সিরিয়াল নম্বও ০০১বোনাস রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ২২২৪৪৮৮৮৪৫৯ বোনাস পিন নম্বর ০০৯০৬০৮৪৫ কিছুক্ষণ পর ওই প্রতারক চক্র ০১৭৭৭৪৪০০০৯ থেকে আবারও ফোন করে বলে, ‘ আপনার চেক তৈরীরাতেই ঘোষণা হবে আপনাকে আরো ২ হাজার ১ শ টাকা বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে পাঠাতে হবে বৃষ্টি বলেন, ‘ একবার টাকা নেয়ার পর আবার টাকা চাওয়ায় ওই সময় পাশে থাকা আম্মুকে ফোনটা দিয়ে দেইসে জানায়, প্রতারক চক্র তার মাকে বলে টাকা দিলে দেন না হলে রাত সাড়ে ৮টার এনটিভির সংবাদে পুরস্কার ঘোষণার সময় গালে হাত দিয়ে বসে থাকিয়েন 
প্রতারণার শিকার বৃষ্টি বলেন, ‘ বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে এবং তারপর থেকে প্রতারক চক্র তাদের নম্বর বন্ধ করে দিযেছে 
                                                          মাসুম